Header Ads

পিন্টু ঘোষ: বিশ্বাস এবং উদ্ভাবনের এক উজ্জ্বল পথপ্রদর্শক


কলকাতা টাইমসঃ
নিরাপত্তা এবং আলমারির জগতে যে নামটি বিশ্বাস এবং উদ্ভাবনের আলোকবর্তিকা হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে তা হল ‘ইন্ডিয়ান সেফ’। সংস্থার এই অভাবনীয় সাফল্যের নেপথ্যে যে মানুষটি রয়েছেন তিনি হলেন পিন্টু ঘোষ। তাঁর দূরদৃষ্টিতাতেই আজ ইন্ডিয়ান সেফ' নিজের এক স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে।

পিন্টু ঘোষের কথা বলবার আগে যে মানুষটার কথা অবশ্যই একবার স্মরণ করতে হয় তিনি হলেন তাঁর বাবা, শ্রী তপন কুমার ঘোষ। ১৯৯৬ সালে তপনবাবুই প্রথম উপলব্ধি করেন, পরিবর্তনশীল এই বিশ্বে শক্তিশালী, সুরক্ষিত এবং মার্জিত আলমারির প্রয়োজনীয়তা। সেই ভাবনা থেকেই জন্ম নেয় ইন্ডিয়ান সেফ’।

তপন কুমার ঘোষের তত্ত্বাবধানেই ‘ইন্ডিয়ান সেফ’ দ্রুততার সঙ্গে মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে। এরপর উত্তরাধিকার সূত্রে পিন্টু ঘোষ সংস্থার হাল ধরেন এবং তিনি তাঁর বাবার আদর্শেই পথ চলা শুরু করেন।


পিন্টু ঘোষ বরাবর বিশ্বাস করতেন, সাফল্য কখনও একা ধরে রাখা যায় না তাঁর জন্য পাশে প্রয়োজন সমমনোভাবাপন্ন কয়েকজন মানুষ। অর্থাৎ, টিম ওয়ার্ককেই বেশি গুরুত্ব দিতে ভালোবাসেন তিনি। সেক্ষেত্রে বলা যেতে পারে, সংস্থার উৎপাদন, বিপণন, এবং কৌশলগত দলের সদস্যরা তপনবাবুর স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের হুগলির তারাহাটে ‘ইন্ডিয়ান সেফ’-এর একটি অত্যাধুনিক কারখানা রয়েছে। যার আয়তন ৭০,০০০ বর্গফুট। সমস্ত নতুন ভাবনা এখানেই উদ্ভাবন রূপ নেয়। স্বয়ংক্রিয় শিয়ারিং মেশিন, অটো নচিং মেশিন, সিএনসি বেন্ডিং মেশিন, লেজার কাটিং মেশিন এবং সিএনসি হেমিং মেশিন সহ যন্ত্রপাতির ব্যবহারে উৎকৃষ্ট পণ্য করে ‘ইন্ডিয়ান সেফ’।

গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘ইন্ডিয়ান সেফ’ বদ্ধপরিকর। পণ্যের গুণগত মানে ক্ষেত্রে কোনও রকম খামতি রাখতে পছন্দ করেন না খোদ পিন্টু ঘোষ। শুধু তাই নয়, পণ্য বিক্রি হয়ে যাবার পরেও গ্রাহকদের সমস্ত রকম অসুবিধার কথা যথাযথ মূল্য দিয়ে বচার করা হয়। যাকে বলে, ‘আফটার সেলস সার্ভিস’। শুধুমাত্র গ্রাহকদের সন্তুষ্ট করাই পিন্টুবাবুর উদ্দেশ্য নয়, বরং তাঁর মূল লক্ষ্য, প্রতিটি ধাপে প্রতিটি গ্রাহকের মানসিক শান্তি নিশ্চিত করা। তিনি বিশ্বাস করেন শ্রেষ্ঠত্বকে শুধু দেখা গেলেই হয় না, তাকে অনুভব করা উচিত।

পিন্টু ঘোষের নিঃসন্দেহে বহু মানুষের অনুপ্রেরণা। তিনি প্রমাণ করেছেন, প্রবল ইচ্ছেশক্তি, দলগত চিন্তা এবং স্পষ্ট ভাবনা থাকলে সাফল্য আসবেই।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.