অভিষেকের ডাকে সাড়া দিচ্ছেনা দলের কর্মীরা, ড্যামেজ কন্ট্রোলে নয়া পন্থা সাংসদের!
The Kolkata Times: মঙ্গলবার সাহেবগঞ্জের সভা শেষে সিতাই গোঁসানিমারি হাই স্কুলের মাঠে কর্মসূচিতেই চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। অভিষেক বলেছিলেন, “মঞ্চে ব্যালট বাক্স রেখে যাচ্ছি। উপস্থিত তৃণমূল নেতা, কর্মী এবং সমর্থকেরা যেন নিজেদের প্রার্থী বাছাই শুরু করেন এবং মতামত জানান।” সবে বলে তিনি মঞ্চ ছেড়েছিলেন। তবে শীতলকুচি পর্যন্ত পৌঁছতেও পারেননি তিনি। তার মধ্যেই গন্ডগোল। এমনকি ব্যালট বাক্স ছিনতাই, ব্যালট পেপার ছিঁড়ে দেওয়ার মত ঘটনা ঘটে। মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মীরা।
অভিষেকের কাছে, নিজেকে পাহারাদার বলে দাবি করে অভিষেক বলে, যারা ভাবছেন সন্ত্রাস করে তৃণমূলের প্রাথী হওয়া যাবে তারা ভুল করছেন, পাহারাদারের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।" এই বলে তিনি স্থানীয় বিশায়ক এবং নেতাদের নির্দেশ দেন বুধবার আবার জনতার ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করার জন্যে। নির্দেশ মৎ বুধবার আসে ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপার। কিন্তু দেখা যায় ভোট দিতে আসেননি কেউ। এমনকি ভোট গ্রহণ স্থলে নেই কোন তৃণমূল কর্মীও। এই ঘটনা যে দলের ভবিষ্যতের জন্যে সুখকর নয় তা ভালই বোঝেন অভিষেক।
সেইমত আজ ঘুঘুমারির সভায় দলীয় নেতৃত্বকেই বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন বলেন, আপনাদের একটা নম্বর দিচ্ছি, সেখানে বাড়ি থেকে ফোন করেও আপনাদের মতামত জানাতে পারবেন। ৭৮৮৭৭৭৮৮৭৭ এই নম্বরে ফোন করে মতামত জানাতে পারবেন। পর্যবেক্ষকদের মতে অভিষেকের ডাকে যখন দলের নিচুতলার নেতৃত্বই সাড়া দিচ্ছেনা তখন বঙ্গবাসীর সামনে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন তৃণমূলের সেকেণ্ড ইন কমান্ড।
অভিষেকের ডাকে সাড়া দিচ্ছেনা দলের কর্মীরা, ড্যামেজ কন্ট্রোলে নয়া পন্থা সাংসদের!
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার তৃণমূল বনাম তৃণমূল, ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিষেক বলেছিলেন, “সিতাইয়ে আমার সভায় একটি ব্যালট বাক্স রাখা ছিল। সেখানে কিছু মানুষ অত্যুৎসাহী হয়ে ভোট দিতে গিয়ে ব্যালট বাক্সটি প্রায় ভেঙে ফেলেছেন।” আবারও ওই এলাকায় ‘নির্বাচন’ হবে বলে জানিয়ে দেন অভিষেক। বুধবার সকাল থেকে কোনও তৎপরতাই দেখা যায়নি ওই এলাকায়। মঞ্চ ছিল এর তাঁর সাথে ছিল ফাঁকা মাঠ, ফাঁকা মঞ্চ, খালি ব্যালট বাক্স। দুপুর ১২ টা পর্যন্ত অন্ততপক্ষে কাউকে দেখা যায়নি আশেপাশে।