Header Ads

Lightning and Death: বর্ষার অপেক্ষাই যেন কাল হল, দক্ষিনবঙ্গে বজ্রপাতে মৃত্যু ১৪ জনের।

বর্ষার অপেক্ষাই যেন কাল হল, দক্ষিনবঙ্গে বজ্রপাতে মৃত্যু ১৪ জনের।

The Kolkata Times:
বর্ষার অপেক্ষায় দিন গুনছিল বঙ্গবাসী। কাঠফাটা রোদ তার সাথে ব্যাপক তাপপ্রবাহে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছিল সাধারণ মানুষের। প্রচণ্ড দাবদাহের কারনে দুপুর বেলা বেরোনোই দায় হয়ে পড়েছিল। সবাই চাতক পাখির মত আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিল যে বৃষ্টি কখন হবে। বেশ কিছুদিন প্রতীক্ষার পর, অবশেষে আবহাওয়া দফতর খুশির খবর শোনায়। জানা যায় বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে চলেছে বাংলায়। আর সেই খবর কাঁটায় কাঁটায় মিলতেই যেন খুশি উবে গেল ১৩ টি পরিবারের।

আরও খবরঃ ধেয়ে আসছে আমফানের থেকেও ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়, মে মাসেই আছড়ে পড়বে বাংলায়

বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় ঝড়, বৃষ্টির সঙ্গে বাজের দাপট দেখা যায়। একদিনে বাজ পড়ে দক্ষিণবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে খবর। মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান, হাওড়ায় বাজ পড়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী মেদিনীপুরে ৩ জন, পূর্ব বর্ধমানে ৪ জন, মুর্শিদাবাদে ৩ জন, হাওড়ায় ৩ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। 

বর্ষার অপেক্ষাই যেন কাল হল, দক্ষিনবঙ্গে বজ্রপাতে মৃত্যু ১৪ জনের।


ভাতারের বেলেণ্ডা গ্রামে বজ্রাঘাতে মারা যান মনসুর আলি শেখ (৩৫)। পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমাতে বজ্রাঘাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম খোকন শেখ (৪০)। খণ্ডঘোষের তোরকোনার বাসিন্দা বাসুদেব রায় (৫২)-এর মৃত্যু হয়েছে বজ্রাঘাতে। বর্ধমান থানার নতুনগ্রামের বাসিন্দা মফুজা বেগম (৩৫) ধান তোলার কাজ করার সময় আহত হন বাজের আঘাতে। হাওড়ায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমতায় তিনজনেরই বাড়ি। আহত তিন জন। 

বর্ষার অপেক্ষাই যেন কাল হল, দক্ষিনবঙ্গে বজ্রপাতে মৃত্যু ১৪ জনের। 


বর্ষার অপেক্ষাই যেন কাল হল, দক্ষিনবঙ্গে বজ্রপাতে মৃত্যু ১৪ জনের।


আমতার শেরপুরে মাঠে কাজ করছিলেন ৫৭ বছরের মহানন্দ ঘুকু। বাজ পড়ে আহত হন। আমতা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে আমতা সিরাজবাটি মিল্কিচক ধনুড়ি পাড়ায় মাঠের ধারে বসেছিলেন চার যুবক। বাজ পড়ে চারজন গুরুতর আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজন ৩৭ বছরের মহম্মদ ইসমাইল মারা যান। শেখ জুলফিকর নামে ২২ বছরের এক যুবকও বজ্রাঘাতে মারা যান। 

পশ্চিম মেদিনীপুরে বাজ পড়ে মৃত্যু হয় এক কিশোরী-সহ ৪ জনের। আহত হন দু’জন। আহতদের চিকিৎসা চলছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বাজ পড়ে মৃত্যু হয় স্বপন ভুইয়্যা (৪৪) নামে এক ব্যক্তির। শালবনি থানার বাগমারি এলাকার ঘটনা। কেশপুর থানার অঙ্গুয়া এলাকায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় মামনি ঘোষ (১৮) নামে এক কিশোরীর। মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত শিরোমণি এলাকায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় বৈদ্যনাথ সরেন (৫৫) নামে এক ব্যক্তির।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.